
HSC Bangla Assignment Answer 2022 – 4th Week
Xi College Bangla 1st & 2nd Paper assignment question & solution 2021 (exam 2022). 3rd week HSC Bangla assignment answer has been attached on our website, contrary to homework question has published on DSHE’s official website www.dshe.gov.bd. Such as the way our website has also published school assignment. Today we discuss 3rd week Xi HSC Assignment 2022 with PDF so let’s know more in detail.
HSC College Bangla Assignment Answer 2022
Today, 14 June 2021, assignments for the HSC candidates of 2022 have published. Assignments have been given on a total of 6 subjects. One of these subjects is Bangla. Through this post, you will get the Bangla 1st paper & 2nd paper assignment along with the solution.
From now on, assignments will be given continuously every week. However, this assignment is only for 2022 HSC candidates. Because, to maintain the continuity of students’ studies, the Directorate of Secondary and Higher Education has taken this decision.
And our website will keep publishing the assignment solution. So visit our website regularly to get regular assignment updates.
4th Week Bangla Assignment Answer 2022
- Assignment Question
- Assignment Answer
বিদ্রোহী কবিতার আলােকে কবির বিদ্রোহী সত্তার স্বরূপ নির্ধারণ এবং বর্তমান সময়ে কবিতাটির প্রাসঙ্গিকতা যাচাই।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “বিদ্রোহী ” কবিতাটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা থেকে সংকলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতা “বিদ্রোহী “।”বিদ্রোহী” বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা। রবীন্দ্রযুগে এই কবিতার মধ্যে এক প্রাতিম্বিক কবিকণ্ঠের আত্মপ্রকাশ ঘটে – যা বাংলা কবিতার ইতিহাসে এক বিরল স্মরণীয় ঘটনা। বিদ্রোহী কবিতায় আত্মজাগরণের উন্মুখ কবির সদম্ভ আত্মপ্রকাশ ঘােষিত হয়েছে। কবিতায় সর্গবে কবি নিজের বিদ্রোহী কবিসত্তার প্রকাশ ঘটিয়ে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের শাসকদের শাসন ক্ষমতার ভীত কাপিয়ে দেন। এই কবিতায় সংযুক্ত রয়েছে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে কবির ক্ষোভ ও বিদ্রোহ। কবি সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধর্ম, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও পুরাণের শক্তি উৎস থেকে উপকরণ উপাদান সমীকত করে নিজের বিদ্রোহী সত্তার অবয়ব রচনা করেন। কবিতার শেষে রচিত হয় অত্যাচারীর অত্যাচারের অবসান কাম্য। বিদ্রোহী কবি উৎকণ্ঠ ঘােষণায় জানিয়ে দেন যে, উৎপীড়িত জনতার ক্রন্দনরােল যতদিন পর্যন্ত প্রশমিত না হবে ততদিন এই কবিসত্তা শান্ত হবে না। এই চির বিদ্রোহী অভ্রভেদী চির উন্নত শিররূপে বিরাজ করবে।
বিদ্রোহী কবিতায় কবি নিজেকে যে যে রুপে উপস্থাপন করেছেনঃ
কবি কবিতার শুরুতেই বলেছেন তার মস্তক উৰ্ধ কারন তিনি আত্ম জাগরণে উন্নখ।হিমালয় পর্বত তার মস্তক পর্যবেক্ষণ করে নিজের শিখর নত করে রেখেছে।
কবি বলেছেন তিনি চিরদুর্দম যাকে দমন করা যায় না,তিনি দুর্বিনীত যে অন্যায়কারীর সাথে বিনীত ভাব দেখান না, তিনি নৃশংস অর্থাৎ তিনি দুঃসাহসিক ভাবে অন্যায়কারীকে দমন করেন।
“আমি অনিয়ম উশৃংখল” -দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন তিনি বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের দ্বারা প্রণীত কোনাে নিয়ম বা আইন শৃংখলা মানেন না।
“আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লােকালয়, আমি শশ্মান”- দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন তার সত্তা পরিপূর্ণ। তিনি যেমন নিজ হাতে যেমন কিছু গড়ে তুলতে পারেন তেমনি তিনি সব কিছু আবার ধংস ও করতে পারেন।তিনি নিজেকে লােকালয়ের সাথে তুলনা করেছেন যেখানে রয়েছে জন জীবনের কোলাহল অন্যদিকে তিনি নিজেকে বলেছেন, শশ্মান যেখানে শুধুই দেখা যায় লাশের মিছিল।
আমি বেদুইন দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন তিনি সুদূর আরবের ভবঘুরে এক জাতির মতােই। তার নেই কোনাে বাসস্থান নেই কোনাে পিছুটান। শুধুই সময়ের সাথে ছুটে চলাই যার ধর্ম।
কবি নিজেকে চেঙ্গিস খান বলেছেন। আসলে এখানে কবি বুঝাতে চেয়েছেন তিনিও চেঙ্গিস খানের মতােই একজন দুর্ধর্ষ যােদ্ধা। যিনি নিজের জাতিকে রক্ষার জন্য জীবন যেমন দিতে পারেন, তেমনিই জীবন নিতেই পারেন।
নজরুল নিজেকে বলেছেন তিনি অবমানিতের মরম বেদনা অর্থাৎ একজন ব্যাক্তি যার সাথে অবমাননা করা হয়েছে তার বেদনা অনেক তীব্র। নজরুল নিজেকে সেই বেদনার সাথে একাত্বতা করে দিতে পেরেছেন কারণ তিনি অবমানিতের বেদনা অনুভব করতে পারতেন।
তিনি আরাে বলেছেন, তিনি পথিক কবির গভীর রাগিনী, এখানে তিনি পথিক কবি বলতে বাউল কে বুঝিয়েছেন, বাউল পথে পথে হেঁটে তার একতারায় তােলেন গভীর সুর।
কবি নিজেকে নিদাঘ তিয়াশা বলেছেন, নিদাঘ অর্থ গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মকালে সূর্যের প্রখরতায় চারিদিক যেন শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। এমন সময় সকল জীব থাকে খুব তৃষ্ণার্ত। আর এই তৃষ্ণা এতটাই তীব্র যে তৃষ্ণা মিটানাের জন্য প্রাণীকুল সর্বদা সচেষ্ট থাকে। কবি নিজেকে তাই গ্রীষ্মের তৃষ্ণা বলেছেন।
কবি নিজেকে অর্ফিয়াসের বাঁশরি বলেছেন। দেবতা অর্ফিয়াস তার বাঁশির সুরের মায়াজালে সকলের মন জয় করতেন।কবিও নিজেকে সেই বাঁশির মতাে বলেছেন যে সবার মন জয় করতে পারে।
কবি নিজেকে বলেছেন পরশুরামের কঠোর কুঠার। পরশুরাম পিতার আদেশে নিজ মাতাকে কুঠার দ্বারা হত্যা করেন। এখানে পরশুরামের কঠোর হৃদয়ের আভাস পাওয়া যায়। কবিও তেমনি নিজেকে পরশুরামের কুঠার এর সাথে তুলনা করার মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন ক্ষেত্র সাপেক্ষে কবি হয়ে উঠতে পারেন অনেক কঠোর।
কবিতায় ব্যবহৃত ঐতিহ্য ও পুরাণের ব্যবহারঃ
মহাদেব মহাপ্রলয়ের সময় তান্ডব নৃত্য নেচেছিলেন, গজাসুর ও কালাসুরকে বধ করেও তিনি তান্ডব নৃত্য নেচেছিলেন। এই তান্ডব নৃত্যকলার উদ্ভাবক হিসেবে তাকে নটরাজ ডাকা হয়।
পৃথু ছিলেন অত্রি বংশের অত্যাচারী রাজা বেন এর পুত্র। রাজা বেন এর মৃত্যুর পর তার ডান বাহু থেকে পৃথুর জন্ম। প্রজা কল্যানার্থে পৃথু পৃথিবীকে বশ করেন। তার রাজত্বকে বলা হয় পৃথু।
ভূলােক মানে পৃথিবী, দ্যুলােক মানে স্বর্গ, আর গােলক মানে বিষ্ণুলােক অথবা স্বর্গে বিষ্ণু বা কৃষ্ণের বাসস্থান। কৃষ্ণ-রাধার বৃন্দাবন এখানেই অবস্থিত। ঋগ্বেদে রুদ্র বজ্রের দেবতা, গ্রীক মিথের ‘থর’ এর মত। ক্ষেপে গেলে বজ্র ছুড়ে মারেন। ইনি ব্রহ্মার পুত্র। তার ক্রোধে নেমে আসে ধ্বংস আর মহামারী।
ভীম পাঁচ পান্ডবদের একজন। কুন্তির গর্ভে এবং বায়ুর ঔরসে এর জন্ম। দুর্যোধন তাকে হত্যার জন্য তার খাবারে বিষ মিশিয়ে অজ্ঞান করে পানিতে ফেলে দেন। পানিতে নাগরাজ বাসুকীর কৃপায় ভীম বেঁচে যান এবং আরাে শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসেন। কবি ‘ভাসমান মাইনে’র সাথে ভীম বিশেষন সম্ভবত একারনের এনেছেন। ‘
ধুর’ শব্দের অর্থ জটাভার বা ত্রিলােকের চিন্তাভার। শিব তার মাথায় জটাভার ধারণ করেন। অথবা ত্রিলােকের চিন্তাভার ধারণ ও বহন করেন। এসকল ভার বহন ও ধারণের কারণে তারই নাম ধূর্জটি।
সাগ্নিক মানে যে আগুন সবসময় জ্বলে। জমদগ্নি হলেন চার প্রকার বেদেই পন্ডিত বৈদিক ঋষি। রেনুকা ছিলেন তার স্ত্রী। একদিন গােসল করতে গিয়ে রাজা চিত্ররথকে তার স্ত্রীদের সাথে জল-ক্রীড়া করতে দেখে রেনুকা কামােত্তেজিত হয়ে বাড়ি ফেরেন। স্ত্রীর চেহারা দেখে জমদগ্নি ভুল সন্দেহ করে বসেন এবং রেনুকাকে হত্যা করতে তার পুত্রদের নির্দেশ দেন। একে একে চার পুত্র অপারগতা প্রকাশ করলে ক্রোধান্ধ জমদগ্নি তাদের সবাইকে অভিশাপ দিয়ে পাথর করে দেন।
ইন্দ্রানী ইন্দ্রের স্ত্রী এবং তার ‘সুত’ বা পুত্রের নাম জয়ন্ত। রমায়নে ইনি বিক্রমের সাথে রাক্ষসসেনাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন।
একদা সমুদ্র মন্থনের ফলে সমুদ্রের তলা থেকে ভয়ঙ্কর বিষ উঠে আসে, যাতে পৃথিবী ধংসের উপক্রম হয়। ব্রহ্মার অনুরােধে শিব বা মহাদেব সেই বিষ শুষে নেন। বিষের প্রভাবে তার গলা নীল হয়ে যায়। তাই তাকে ডাকা হয় নীলকণ্ঠ বা কৃষ্ণ কণ্ঠ।
ব্যোমকেশ মানেও শিব। স্বর্গ থেকে গঙ্গায় অবতরন কালে তার জটা আকাশময় ছড়িয়ে গিয়েছিল বলে এই নাম। অযােধ্যার রাজা সগরের অশ্বমেধযজ্ঞের অশ্ব চুরি করেছিলেন ইন্দ্র। সেই অশ্ব খুজতে খুজতে সগরের ৬০,০০০ সন্তান পাতালে কপিলের আশ্রমে গিয়ে তা খুঁজে পায়। কপিল মুনিকে ঘােড়াচোর ভাবার কারনে কপিল মুনি তাদের পুড়িয়ে ছাই করে দেন। একমাত্র গঙ্গার জলের ছােয়া পেলে এরা আবার বেঁচে উঠবেন। কিন্তু গঙ্গা তাে থাকেন স্বর্গে, শুরু হল তাকে পৃথিবীতে আনার উপাসনা। সগর ব্যর্থ, অংশুমান ব্যর্থ, দীলিপও ব্যর্থ। অবশেষে ৪র্থ পুরুষ ভগীরথ ব্রহ্মাকে তুষ্ট করলেন। অতঃপর শিবের সহায়তায় গঙ্গাকে পৃথিবীতে আনা হয়েছিল।
চেঙ্গিশ খান ছিলেন মঙ্গোলিয়ান সম্রাট এবং দুর্ধর্ষ সমরনায়ক। যুবক চেঙ্গিসের স্ত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায় আরেক গােত্র প্রধান। চেঙ্গিস খান তার নিজ গােত্রকে পুনর্গঠিত করে অপহরনকারী গােত্রকে নৃশংস ভাবে পরাস্ত করে স্ত্রীকে উদ্ধার করেন। এরপর অন্যান্য মােঙ্গল গােত্রদের একীভুত করে অর্ধেক বিশ্ব জয় করেন।
ইসলাম ধর্মমতে কেয়ামত বা মহাপ্রলয় শুরুর আগে ইস্রাফিল নাম্মী ফেরেস্তা শৃঙ্গার বাজাবেন।
পিনাক-পানি শিবের অন্য নাম। পিনাক নামে তার ব্যবহৃত সরঞ্জাম যা যুদ্ধে ধনুক হিসেবে তিনি ব্যবহার করতেন, অন্যসময় বাদ্যযন্ত্র হিসেবে। ধর্মরাজ যমের অন্যনাম, যিনি নরকের অধীশ্বর দেবতা এবং দেবগনের মধ্যে সবচে পুন্যবান। দন্ডের সাহায্যে ইনি জীবের প্রান সংহার করেন।
দুর্বাসা ক্ষ্যাপাটে এক মুনি। এমন ক্ষ্যাপা যে নিজের স্ত্রীকে কথা দিয়েছিলেন যে তার শত ত্রুটি তিনি মার্জনা করবেন, এবং ঠিক ১০১ তম বার শাপ দিয়ে পুরিয়ে ছাই করে ফেলেছিলেন। এর শাপে ইন্দ্ৰ শ্ৰীষ্ঠ হন, শকুন্তলা দুষ্মন্ত কর্তৃক পরিত্যাক্তা হন, মানে পান থেকে চুন খসলেই তিনি রেগে গিয়ে শাপশাপান্ত দিয়ে অস্থির করে ফেলতেন।
বিশ্বামিত্র ছিলেন ব্রহ্মাৰ্ষি, যিনি ক্ষত্রিয় হয়ে জন্মেও তপস্যাবলে ব্রাহ্মন হয়েছিলেন। তার অধ্যবসায় দৃষ্টান্তমূলক।
রাহু এক দানব, যিনি দেবতা সেজে কৃষ্ণের দেয়া সুধা পান করার সময় চন্দ্র আর সুৰ্য্যের কারনে ধরা পরে যান। ক্রুদ্ধ বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্রের আঘাতে এর মাথা কেটে ফেললেও স্বর্গসুধা পানের কারনে ততক্ষনে সে অমরত্ব লাভ করেছে। সেই থেকে মাথার নাম রাহুই থাকল, আর দেহের নাম হল কেতু। রাহু চান্স পেলেই চন্দ্র সুৰ্য্যকে গিলে ফেলে গ্রহন ঘটায়।
অর্ফিয়াস বা ওর্ফেউস একটি গ্রিক পৌরাণিক চরিত্র, যিনি বাদ্যযন্ত্রের সুরের মুর্হনায় পাথরেও প্রান সঞ্চার করতে পারতেন।
শ্যাম মানে কৃষ্ণ, ইনিও তার বাঁশি বাজিয়ে মুগ্ধ করতেন।
যুগল কন্যা সমুদ্র মন্থনের সময় উখিত কৌস্তভ মনি যা বিষ্ণু ও কৃষ্ণ বক্ষে ধারন করতেন।
ছিন্নমস্তা দশ মহাবিদ্যা বা দশ প্রকার শক্তির রুপের একটি। চন্ডী অসুর বধের সময় দুর্গার এক ভীষন রূপ।
পরশুরাম জমদগ্নি ও রেনুকার পঞ্চম পুত্র।কুঠার ছিল তার প্রিয় অস্ত্র। একবার ক্ষত্রিয়রাজ কার্তবীর্য জমদগ্নির আশ্রমে এসে আশােভন আচরন করেন। পরশুরাম তখন আশ্রমে উপস্থিত ছিলেন না। ফিরে এসে ঘটনা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি কার্তবীর্যকে ধাওয়া করেন, এবং পরে হত্যা করেন। এতে কার্তবীর্যের পুত্ররা জমদগ্নিকে হত্যা করে পিতৃহত্যার শােধ নেন। এবার পরশুরাম পিতৃহত্যার প্রতিশােধ নিতে সারা পৃথিবী থেকে ক্ষত্রিয়দের নিঃশ্চিহ্ন করতে পন করেন এবং পরপর একুশ বার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করে তবে থামেন।
বলরাম ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই। গদা যুদ্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তার প্রিয় অস্ত্র ছিল হল বা লাঙ্গল, তাই তাকে হলধরও বলে। কুরুক্ষত্রের যুদ্ধে ইনি নিরপেক্ষ থাকলেও, কংস হত্যায় তিনি কৃষ্ণ কে সহায়তা করেছিলেন। দুর্যোধন ও ভীমের গদাযুদ্ধে ভীম অন্যায়ভাবে দুর্যোধনের উরু ভেঙ্গে দিলে বলরাম যারপরনাই ক্ষিপ্ত হয়ে পান্ডবদের আক্রমন করতে উদ্যত হলে কৃষ্ণ তাকে শান্ত করেছিলেন।
ভৃগু প্রাচীন সপ্তর্ষিদের অন্যতম। একবার মুনিঋষিরা ব্রহ্মা, শিব আর বিষ্ণুর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা মিমাংশার জন্য ভৃগুর দ্বারস্থ হন। ভৃগু প্রথমে ব্রহ্মা ও পরে শিবের সাথে দেখা করেন এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের ক্ষেপিয়ে দেন। সবশেষে তিনি বিষ্ণুর সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন বিষ্ণু ঘুমাচ্ছেন। তখন তাকে জাগাতে তিনি তার বুকে লাথি মারেন। ঘুম ভেঙ্গে বিষ্ণু ভৃগুর এই ধৃষ্টতায় রাগান্বিত না হয়ে বিনয় প্রদর্শন করতে থাকলে, ভৃগু বিষ্ণুকে শ্রেষ্ঠ বলে মত দেন।
কবির বিদ্রোহী সত্তা সমাজের যেসব অসাম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, সেগুলাে চিহ্নিতকরণঃ
কবি তার বিদ্রোহী কবিতায় তার বিদ্রোহী সত্তার আবির্ভাব অনেক বলিষ্ঠ ভাবে এবং উপমার দ্বারা প্রকাশ করেছেন। এই কবিতায় কবি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমাজে নিত্যদিন ঘটে যাওয়া অসমতা গুলাের বিরুদ্ধে। এই কবিতাতে কবি লিখেছেন ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন কে কেন্দ্র করে, ব্রিটিশ শাসকরা এদেশের সাধারণ জনগনের উপর করেছে অন্যায় অত্যাচার নিপীড়ন। অত্যাচারে নিষ্পেষিত হয়ে মানুষ হয়ে যায় ভীতু কাপুরষ। আর হারিয়ে ফেলে। নিজের “আমিত্যকে”,নিজের সত্তাকে দিয়ে দেয় বিসর্জন, কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যায় অবিচার সহ্য না করে প্রতিবাদ করে, হয়ে উঠে বিদ্রোহী। নজরুল,তেমনই একজন। এই কবিতাটিতে তার বিদ্রোহী মনােভাবের বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে নজরুল সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্তির কথা বলেছেন। নজরুল একজন অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, তার মতে, মানুষে মানুষে ধর্মের কারণে দ্বন্দ্ব সংঘাত হওয়া উচিত না। প্রত্যেক ধর্মের প্রতি ছিল নজরুলের গভীর জ্ঞান ও শ্রদ্ধা। এইজন্যই তাে কবি তার কবিতায় হিন্দু পুরাণ থেকে যেমন উপমা ব্যবহার করেছেন,তেমনিই করেছেন ইসলামিক ইতিহাস থেকে।তিনি আরাে যেসকল অসাম্যের কথা বলেছেন তার মধ্যে রয়েছে জাতি বিদ্বেষ, বর্ণ বিদ্বেষ, মানুষের মাঝে শ্রেণী বৈষম্য। মানুষ মাত্রই সৃষ্টির সেরা জীব। বৈচিত্রই মানুষকে করে অনন্য। কিন্তু সমাজে কিছু নিচু মানসিকতার মানুষ আছে যারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে ধর্ম, বর্ণ,জাতি, গােত্র,পেশা ইত্যাদি বিবেচনা করে।কবি নজরুল সমাজের এসকল অসাম্যের বিরুদ্ধে তীব্র বিরােধিতা করেন।
বর্তমান সময়ের নানারকম অসাম্যের প্রেক্ষাপটে “বিদ্রোহী’ কবিতার প্রাসঙ্গিকতা যাচাইঃ
বিদ্রোহী কবিতায় কবি তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন অসমতা তুলে ধরেছেন। বর্তমান সময়ে আমরা সমাজে নানা রকম অসমতা দেখতে পাই। এসকল অসাম্যের প্রেক্ষাপটে “বিদ্রোহী” কবিতার প্রাসঙ্গিকতা যাচাই করা হলােঃ
বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে মানুষে মানুষে সাম্প্রদায়িকতা,দ্বিধাদ্বন্দ।কারনে অকারণে একে অপরকে কাদা ছােড়াছুড়ি করছে। সমঝোতা ও সহমর্মিতা মানুষের মাঝে খুজে পাওয়া যায় না।
সমাজের মানুষ আজও শ্ৰেণী বৈষম্যের শিকার। উচ্চ বিত্তশালী লােক নিম্নবিত্তশালীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে। নিম্নবিত্ত পরিবার গুলােকে কোন প্রকার সুযােগসুবিধা দেয়া হয় না। যদিওবা দেয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। বড়লােক আরও বড়লােক হচ্ছে আর গরীব হচ্ছে আরও গরীব। ন্যায্য পাওনা দেয়া হলে দরিদ্রতা তাদের গ্রাস করতে পারতাে না ।
আরও দেখা যায় জাতি বিদ্বেষ। ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীরা যে আমাদের মতােই এদেশের নাগরিক তা অনেকে মানতেই চায় না। তাদেরকে সকলে ছােট চোখে দেখে,অযােগ্য মনে করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দিক থেকে তারা পিছিয়ে পড়ার কারণ আমাদের সকলের অসচেতনতা। শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের সুযােগ সুবিধা খুবই সীমিত। অন্যদিকে সামাজিক, রাজনৈতিক ভাবেও তাদের অধিকার আদায় বিষয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ নেই।
আর না বললেই নয়। বর্ণ বৈষম্যতাে যেন সমাজে খুটি গেড়ে ফেলেছে। গায়ের রঙ যদি হয় কাল বা শ্যামলা তাহলে জীবনের প্রতিটি পদে তাদেরকে অপমানের সম্মুখীন হতে হয়। তাদের যােগ্যতা দ্বারা বিচার করা হয় না,বিচার করা হয় বাহ্যিকতা দেখে। অনেকে তাে ঘৃণা করে যেন তারা মানুষ নয় পশু।
তাহলে আমরা বুঝতে পারছি, “বিদ্রোহী” কবিতায় কবি পূর্বেই যেসব অসাম্যের কথা বলে গিয়েছেন,বর্তমান সমাজে আমরা সেসকল অসাম্য দেখতে পাই।তাই এই প্রেক্ষাপটে মানুষকে সচেতন করার জন্য “বিদ্রোহী” কবিতার কোন বিকল্প নেই।
3rd Week Bangla 2nd paper Assignment Answer
DSHE authority has declared class 11 Bangla 2nd paper assignment foe 3rd week. We collect HSC Bangla 2nd paper assignment full answer. Here we have added full assignment solution and PDF.
- Assignment Question
- Assignment Answer
ব-ফলার উচ্চারণের সূত্রসমূহ
- শব্দের আদিতে ব-ফলা যুক্ত হলে ‘ব’ অনুচ্চারিত হয়, তবে যে বর্ণ সংযুক্ত হয় সে বর্ণ উচ্চারণে একটু শ্বাসাঘাত লাগে। যেমন- স্বামী, স্বাধীকার, জ্বলছে, দ্বিতীয়।
- শব্দের শেষে বা মধ্যে ব-ফলা থাকলে সেই ব ফলা অনুচ্চারিত এবং যে বর্ণে যুক্ত সেই বর্ণ দ্বিত্ব হয়। যেমনঃ বিশ্বাস, ভূস্বামী, বিশ্ব। উৎ উপসর্গের সাথে ব যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয়। যেমনঃ উদ্বেগ,উদ্বেলিত, উদ্বাস্তু,উদ্বোধন।
- শব্দের মধ্যে বা শেষে বা এর সঙ্গে ব, ম এর সঙ্গে ব যুক্ত হলে ঐ ‘ব’ উচ্চারিত হয়। যেমনঃ সাব্বাস, আব্বা, নব্বই।
- সন্ধি সূত্রে আগত ‘ক’ স্থলে ‘গ’ হলে, সেই ‘গ’ এর সাথে যুক্ত হলে সে ব’ উচ্চারিত। যেমনঃ দিগ্বালিকা,দিগ্বধ।
- যুক্ত ব্যঞ্জন এ ব-ফলা যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয় না। যেমনঃ দ্বন্দ্ব, সান্ত্বনা, উজ্জ্বল, উচ্ছ্বাস।
পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘ব’ ফলা যুক্ত শব্দের উচ্চারণ
- সম্বন্ধ – শম্ বন্ ধাে
- অদ্বিতীয় – অদ্ দিতিয়াে
- সরস্বতী – শরােশ্ শােতি
- নিঃশ্বাস – নিশ্ শাশ
- দাসত্ব – দাশােত্ তাে
- স্বস্তি – শােস্ তি
- উদ্বিগ্ন – উদ্ বিগনাে
- সন্ধান – শন্ ধান
- শ্বাপদ – শাপদ্
- জ্বালা – জালা
ম-ফলার উচ্চারণ সূত্রসমূহ
- শব্দের আদিতে ম-ফলা যুক্ত হলে সেই ম অনুচ্চারিত থাকে। যেমন স্মৃতি, স্মরণ ।
- কিন্তু ম এর কারণে যে বর্ণের সাথে ম যুক্ত হয় সেই বর্ণটি একটু অনুনাসিক হয়। স্মৃতি, শ্মশান।
- শব্দের মধ্যে বা শেষে ম যুক্ত হলে দ্বিত্ব হবে, শেষ বর্ণটি একটু অনুনাসিক হবে। যেমনঃ পদ্ম, ছদ্মবেশ, আত্মীয়।
- গ,ঙ,ট,ণ,ন,ম,ল এর সাথে যুক্ত হলে ম রক্ষিত হবে, কিন্তু দ্বিত্ব হবে না। যেমনঃ –
গ্ন- বাগ্মী,যুগ্ম
ঙ্ম – বাঙ্ময়,পরাঙ্মুখ
ট্ম -কুট্মালিত তরু কুঞ্জে গাঁথিব মালিকা।
ন্ম- জন্ম,উন্মাদ,মৃন্ময়,
ম্ম- সম্মানিত
ল্ম- গুল্ম,বাল্মীকি,শাল্মলী (শিমুল)।
- যুক্তব্যঞ্জনের মধ্যে বা শেষে ম উচ্চারিত হয় না, দ্বিত্ব হয় না, কিন্তু নাসিক্য হয়। যেমন- যক্ষ্মা, লক্ষ্মণ। •
- কৃৎ ঋণ শব্দের আদিতে ম উচ্চারিত হয়। যেমনঃ স্মিতাপাতিল,সুষ্মিতা।
পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘ম’ ফলা যুক্ত শব্দের উচ্চারণ
সম্মার্জনা – শম্ মারজোনা
উন্মনা – উন্ মনা।
আত্মপ্রকাশ – আত্ তোঁপ্রােকাশ
অকস্মাৎ – অকোন্ শাঁত
সবিস্ময় – শােবিস্ময়
আত্মহত্যা – আত্ তোঁহােত্ তা
সম্মুখ – শম্ মুখ
আজন্ম – আজন্ মাে
স্মৃতি – সৃতি
স্মরণ – শঁরােন
য-ফলার উচ্চারণ সূত্রসমূহ
- শব্দের প্রথমে অ-কারান্ত বা আ-কারান্ত বর্ণে য-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণ অ্যা হয়। যেমনঃ ব্যয়, খ্যাত, ব্যাথা, ব্যাকরণ।
- য-ফলা যুক্ত বর্ণের পর ই-কার থাকলে এ উচ্চারিত হয়। যেমনঃ ব্যাক্তি
- শব্দের অন্তে বা মধ্যে য-ফলা থাকলে দ্বিত্ব হবে। যেমনঃ উদ্যান, বিদ্যা, তথ্য।
- মহাপ্রাণ হলে প্রথমটি অল্পপ্রাণ দ্বিতীয়টি মহাপ্রাণ।
- যুক্ত ব্যঞ্জনে য ফলা যুক্ত হলে তার উচ্চারণ থাকে না, অ রক্ষিত হয়। যেমনঃ স্বাস্থ্য, কণ্ঠ্য, বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে য ফলা যুক্ত শব্দের উচ্চারণ
- ব্যস্ত – ব্যাস্ তাে
- বিদ্যা – বিদ্ দা
- সহ্য – শােজ ঝাে
- প্রত্যেক – প্ৰােত্ তেক
- শয্যাগত – শােয্ যাগত
- অসাধ্য – অশাদ্ ধাে
- ভাগ্য – ভাগ গাে
- মিথ্যা – মিত্ থা
- দিব্যি – দিব্ বি
- ব্যবস্থা – ব্যাবােস্ থা
- ধন্য – ধােন্ নাে
Bangla 1st Paper Assignment Answer
Assignment topics will be taken from the first paper of each subject. Therefore, the topic of Bangla assignment has been taken from the first paper of Bangla 1st paper book.
The assignment topic has taken from the “Oporichita” story of Bangla 1st part. So let’s see the assignment.
- Assignment Question
- Assignment Answer
এইচ এস সি বাংলা বই পিডিএফ ডাউনলোড
১) অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর সংকট হলাে সঠিক সময়ে বিবাহ না হওয়া।
মেয়ের বয়স পনেরাে শুনে লেখকের মামার মন ভার হলাে। কারণ তিনি মনে করলেন যে, ঐ মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। তখন আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে না হলে মনে করা হতাে যে মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। যে কারণে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। যে মেয়ের সাথে অনুপমের বিয়ের কথা চলছিল তার বয়স পনেরাে। পনেরাে বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে হয়নি,এমনটি ভেবে অনুপমের মামার মন ভার হলাে।
কল্যাণী উচ্চশিক্ষিতা,রুচিশীল মেয়ে। শিক্ষকতাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। তার শিক্ষাদীক্ষার কারণে বিবাহের সংকট দৃঢ়তার সাথে মােকাবেলা করেছেন।
২)অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী ছিল বেশ সুন্দরী ও প্রাণচঞ্জল। আর পিতা শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন স্পষ্টভাষী ও একজন সুপুরুষ ব্যক্তি, অন্যদিকে অনুপমের মামা বিয়ের পণ, যৌতুক সম্পর্কে কোন প্রকার ছাড় বা আপস করতে রাজি নন। এখানেই গল্পের কাহিনী জটিলতায় রূপ নেয়। রীতিমতাে বেশ আয়ােজনের মধ্যে দিয়ে যদিও বিয়ের কাজ শুরু হয়েছিল,কিন্তু এক পর্যায়ে দেনা পাওনা কারণে সব আনন্দ আয়ােজন এক মুহুর্তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় অথ্যাৎ যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে যায়।এই গল্পে অনুপমের চরিত্রের সীমাহীন দুর্বলতা ও নিবুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়। অনুপম ও তার মামা ভুমিকা যদি ইতিবাচক হতাে তাহলে কল্যাণীর সংসার সুখময় হতাে বলে আমি মনে করি। বিবাহ ভেঙে যাওয়ায় প্রধান কারণ হলাে অনুপমের দুর্বলতা ও তার মামা যৌতুক প্রবনতা।
৩) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলাে হলােঃ
ক) শিক্ষার অভাব
খ) কুসংস্কার
গ)ধর্মীয় গোঁড়ামি
ঘ) পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা
নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় নিম্নে ব্যাখা করা হলােঃ
”বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সত্য উচ্চারণ করলেও আজও আমাদের সমাজে তার যথাযথ স্বীকারােক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আজও মানুষের ধ্যান-ধারণার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখনও সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে নারীদের প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়।
অশিক্ষা, দারিদ্র্য আর কুসংস্কারে ডুবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর প্রথম বাধাটা আসে পরিবার থেকে। অভিধানে ‘উন্নয়নে নারী বা নারী উন্নয়ন’ একটি অতি আধুনিক সংযােজন। এই ধারণা বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দুটি বিষয়ই একটি অন্যটির পরিপূরক। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন বিষয়টি বিশেষ ভূমিকা রাখে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলােতেই যেখানে নারীদের পদযাত্রায় বারবার হোঁচট খেতে হয়, সেখানে তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশের নারী হিসেবে বাঙালি নারীদের প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখােমুখি হতে হয়। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। অথচ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই, নারীরা পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে। দশভুজা নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে আলােকিত করছেন নিজ প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে। বর্তমানে এমন কোনাে পেশা নেই যেখানে নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতি নেই। দেশে এখন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’জন নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। বর্তমানে সবক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর পদচারণা।
নারীর সমাধিকার ও নারীমুক্তির কথা যতই বলা হােক না কেন- উন্নত, অনুন্নত, উন্নয়নশীল সব দেশেই নারীরা কম-বেশি সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার। সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র সবক্ষেত্রে প্রায় একই। বাংলাদেশের মােট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই নারী, কিন্তু নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। খুব অল্প সংখ্যক নারীর মধ্যেই। তাদের অনেকেই নিজের সিদ্ধান্তে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না এবং নিজের বস্তুগত ক্ষমতার পরিসরও স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে বাধাগ্রস্ত হন। নারীশিক্ষার বিষয়টি আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে অপরিহার্যভাবে জড়িত। নেপােলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দেব।’ এ বিষয়ে আরবিতেও। একটি প্রবাদ আছে, ‘একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা দেওয়া। আর একজন নারীকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গােটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তােলা।’ তাই নারীশিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনাতীত। তথাপি শিক্ষা ক্ষেত্রেও এ বৈষম্যের কোনাে শেষ নেই। যদিও শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে এখন নারীদের অংশগ্রহণ শতভাগ।
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন। বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারাও তা স্বীকৃত। কিন্তু প্রায় ৫০ বছরেও তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্রের অভাব ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পিছিয়ে
দিচ্ছে নারীর উন্নয়ন যাত্রাকে। প্রচার মাধ্যমগুলােতে নারীর নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ হতে হবে। নারী কোনাে পণ্য নয়। নারীদের নিজেদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারী-পুরুষের সমান স্বার্থ রক্ষাকারী আইন প্রবর্তন ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীশিক্ষা ও নারীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। নারীকে তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। নারীর কাজকে ছােট করে দেখা চলবে না। নারীর কাজের মূল্যায়ন হতে হবে। সর্বোপরি, নারীর প্রতি ইতিবাচক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
ফ্রেডরিক অ্যাঙ্গেলস তার ‘অরিজিন অব দ্য ফ্যামিলি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘নারীমুক্তি তখনই সম্ভব যখন নারীরা সমাজের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সমগুরুত্ব নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।’ তাই নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও নারী-পুরুষ উভয়ের অন্তর্ভুক্তিতেই উন্নয়নের দেখা পাওয়া সম্ভব। এভাবেই নারীরা এগিয়ে যাবেন, তাদের ভবিষ্যৎ হবে কণ্টকমুক্ত।
৪) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে সহায়ক ভুমিকা হলােঃ
১)সর্বত্র নারীর শুধু অংশগ্রহণ বাড়ালে চলবে না, তার গুণগত উন্নয়ন জরুরি কোনাে দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে ।
২) নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা দরকার ।
৩) কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে ।
৪) মেয়ে ও ছেলেশিশুর মধ্যে কোনাে পার্থক্য নেই। সবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের পূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে ।
৫) নারীবান্ধব আইনগুলাের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি ।
৬) কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে ।
৭) নারীর উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে আরও ক্ষমতায়ন প্রয়ােজন ।
Instructions for students
1) To solve the assignment, you have to use the textbook approved by NCTB.
2) If you copy from the guide or someone else’s assignment, the assignment will not be accepted. Moreover, you have to rewrite the assignment.
3) Students have to show their own individuality and creativity in creating assignments.
4) The student has to write the assignment himself/herself.
5) Write the assignment on clean white page.
6) On the cover page of the assignment, i.e. on the first page, the student should write his/her own name, class, ID, subject, and assignment title neatly.
6) If a student is away from the educational institution for any reason, he/she should talk to the head of the institution. The student must follow the instructions of the head of the institution
ভাই চতুর্থ সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর তা যদি pdf আকারে দিতেন তাহলে অনেক ভাল হত ।
কারণ ভাই আপনার বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট টা অনেক ভাল হইসে
যে ভাই ই চতুর্থ সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট টা লিখেছেন, শুধু বলব চমৎকার হয়েছে। পুরানের বিষয়গুলো একদম ব্যাখ্য সহকারে দেওয়া হয়েছে সাথে সাথে প্রশ্নের সাথে একদম মিল রেখে অ্যাসাইনমেন্ট টি লিখা হয়েছে। ধন্যবাদ